Pyramids of Giza – Fact , Info উন্মোচন করুন মাত্র 5 মিনিটে

Pyramids of Giza

একটা Pyramid ব্যবহার হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ লাইম স্টোন ব্লক। একেকটা ব্লকের ওজন ৫০ থেকে ৭০ টন। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ টা পাঁচ টনী ট্রাক লাগবে এক একটা স্টোন বহন করতে।

আর এ স্টোনগুলা আনা হয়েছে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে তোরা নামক স্থান থেকে। অর্থাৎ ৫০/৭০ টনের এক একটা লাইম স্টোন ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে আনা হয়েছে, আর এরকম স্টোন ২৩ লাখ, তাও আবার একটা Pyramid এর জন্য।

একটা পিরামিড প্রায় ৪৮০ ফিট উচ্চ। এর থেকে নিচুও আছে।
আমরা দাবি করি মানব সভ্যতায় আমরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছি। আমাদের অত্যাধুনিক ক্রেনগুলো, সর্বোচ্চ ২০ টন ওঠাতে পারে। তাহলে ৪০০০ বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়ারা কী দিয়ে ৭০ টনের একটা ব্লক উঠালো, তাও আবার ৪৮০ ফিট উপরে?

আর শুধু কি উঠিয়েছে? গাণিতিক আর জ্যামিতিক নিয়ম মেনে একেবারে নিখুঁতভাবে একটার পর একটা বসিয়েছে।

এই পাথরগুলো লাইমস্টোন বলা হলেও এগুলো তা থেকে আলাদা কিছু। এবং এরকম পাথর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এগুলো ভীষণ শক্ত। কতটা শক্ত ধারণা করতে পারেন? একটা ধারণা দেই, দ্বাদশ শতকে সুলতান আল আজিজ পিরামিড ধ্বংস করতে আসেন। ১০০০ সৈনিক ৮ মাস চেষ্টার পর মাত্র দুটো পাথর পিরামিড থেকে খসাতে পেরেছিল। পিরামিডের গায়ে খসে যাওয়া দুটো পাথরের ওই গর্ত এখনো বিদ্যমান। সুলতান আর সাহস না করে রাজপ্রাসাদে আরামের জন্য চলে গেলেন।

এবার আসেন ওরিয়েন্ট কোরিলেশন থিউরিতে। মিশরীয়রা তিন তারকাকে দেবতা মানতো। এই তিনটা তারার নাম হল Almitak, Alnilam, Mintaka। তারা যে দেবতার পুজো করতো তার নাম ছিল ওয়াইরিশ। সে ছিল মৃত্যু আর জন্মের দেবতা। তাদের ধারণা ছিল তাদের এই দেবতা এই তিন তারকায় বসবাস করত। বড় তিনটা পিরামিড নিয়ে আমরা কথা বলছি। যেগুলো রাতে এ তিনটা তারার সাথে এদের মাথা নিখুঁতভাবে এলাইন করা। যেন উপর থেকে কেউ আকাশের তারার সাথে সমন্বয় করে নিখুঁতভাবে অ্যালাইন করে মাটিতে তিনটি পিরামিড বসিয়েছে। যেটা এরিয়েল ভিউ ছাড়া অসম্ভব। আর তা কিভাবে সম্ভব? এরোপ্লেন, উড়োজাহাজ আর স্যাটেলাইট তো এ যুগের গল্প।

pyramids of giza এর ভিতরে কি রয়েছে ?

শুধু পিরামিডের মাথা নয়, পিরামিডের ভিতরে যে তিনটি চেম্বার (Kings Chamber, Queens Chamber, Base Chamber) আছে, ওই চেম্বার থেকে সুরঙ্গগুলো বাহিরের দিকে আসার যে পথ, সে পথ এই তিনটি তারকার সাথে এলাইন করা।

এতে এত বেশি সুরঙ্গ আর অ্যাঙ্গেল আছে যে সবগুলো সুরঙ্গ এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। আবার সুরঙ্গের ভেতরে আছে গ্রানাইটের চত্বর। অধিকাংশের মত এটা মমি রাখার স্থান। যদিও কোন পিরামিড এর ভিতরেই কোন মমি পাওয়া যায়নি। যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা হলো এগুলো হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল। আর গ্রানাইট এত বড় স্কয়ার বার কিভাবে এত চিকন সুরঙ্গ দিয়ে সেখানে পৌঁছানো হলো? আর এই গ্রানাইট এত নিখুঁতভাবে কিভাবে কাটা সম্ভব হল আজ থেকে চার হাজার বছর আগে, আমাদের এই অত্যাধুনিক যুগের লেজার কাটার ছিল না তখন। অথচ গ্রানাইট পৃথিবীতে ডায়মন্ডের পরে সবচাইতে শক্ত পদার্থ।

আর সুরঙ্গের ভেতরের সুরঙ্গ খুঁজতে গিয়ে আরেক মজার কাহিনী, রিমোট কন্ট্রোল ক্যামেরা আর অত্যাধুনিক গ্রিল দিয়ে সুরঙ্গ ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে একটা সময় ক্যামেরা কোন কারণ ছাড়াই অফ হয়ে যায়। মিশরীয় গভর্নমেন্ট এরপর এই প্রজেক্ট বন্ধ ঘোষণা করে। পিরামিডের রহস্যময় সব সুরঙ্গ আবিষ্কার এখনো অধরাই রয়ে আছে।

জেনে অবাক হবেন পিরামিড গুলো যেখানে গড়ে উঠেছে, এ স্থানগুলো পৃথিবীর একেবারে মধ্যভাগে অবস্থিত। কম্পাস আবিষ্কার হয়নি তখনও, তখনও মানুষ জানতো না পৃথিবীর গোল, কেউ কেউ বলতো পৃথিবী চ্যাপ্টা। মানুষ পথ চলতো তারকা ধরে। কিভাবে একেবারে হিসাব করে পৃথিবীর মাঝখানে পিরামিড বসলো, তাও আবার নর্থপোলকে তাক করে? আর এত ভারী পিরামিড বসানোর জন্য প্রয়োজন ছিল খুব শক্ত ভূমির এবং পৃথিবীর ওই জায়গাটাই সবচেয়ে শক্ত।

এবং ওই জায়গাটা একেবারেই সমতল। আপনি পানি ঢাললে সর্বত্র পানি সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়বে। আর সমতল না হলে অত ভারী পিরামিড এত বছর ধরে এত ঝড় ঝাপটা ভূমিকম্পে এত বছর ধরে বসে থাকবে কেন?

সমালোচকরা বলবে এগুলো এমনি এমনি হয়েছে। আচ্ছা, এ প্রশ্নের জবাব কিভাবে দিবেন? আমরা জানি একুশে জুন পৃথিবীতে দিন সবচেয়ে বড় আর রাত সবচেয়ে ছোট। এই দিন বিকেল বেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সূর্যের অবস্থান হয় দুই পিরামিডের মাঝামাঝি, সেখানে অবস্থিত তাদের স্ফিংস দেবতা, ঠিক মাথার উপরে। আর স্ফিংস তো আরেক আশ্চর্য ব্যাপার, এত বড় একটা মূর্তি একটা পাথরে তৈরি, যা পৃথিবীর আশ্চর্যতম মূর্তিগুলোর একটি।

আরো পড়ুন :Semrush Free Trial কিভাবে নিবেন

পিরামিড তৈরি হয়েছে অধুনা আবিষ্কৃত বল এবং সকেট থিওরি ধরে। তার মানে হল তাপের সাথে বস্তু যেমন বেড়ে যায়, এটা তা না, পিরামিড তাপ বিস্তার প্রতিরোধ করে, গরমে তা বাড়ে না। আর পিরামিডে রয়েছে শক প্রুফ টেকনোলজি। আজকের অত্যাধুনিক যুগের ভূমিকম্পেও ভাঙবে না এরকম অত্যাধুনিক বাড়ির মত। আমরা কিন্তু ঘটনা বলছি ৪০০০ বছর আগের। আমাদের মত তারা অত্যাধুনিক ছিল না! যারা অত্যাধুনিক ছিল, আমাদের চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি। হিসাব তাই বলে।

Pyramids of Gizas কিভাবে তৈরি হয়েছে ?

Pyramids of Giza

পিরামিড গড়ে উঠেছিল ২০ বছরে ২০,০০০ শ্রমিকের পরিশ্রমে। ৪৮১ ফুট মানে ৪৮ তলা বিল্ডিং এর সমান। আর ওজন ৬০ লক্ষ টন, যা প্রায় বারোটা বুর্জ খলিফার সমান। এর প্রত্যেকটা কর্নার ৫১.৫° অ্যাঙ্গেল ধরে করা। আর ৫০ থেকে ৭০ টন এক একটা পাথর আনা হয়েছে দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে। ব্যবহার করা হয়েছে দড়ি, কাট, নৌকা আর শ্রম বল। তাহলে যদি ২০ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক একটা পিরামিড তৈরি করে, তাহলে অত দূর থেকে অত ভারী ওজনের একটা পাথর এনে, মাটি থেকে ৪২১ ফিট উঠাতে এবং জায়গামতো নিখুঁতভাবে বসাতে তারা সময় নিয়েছে দেড় মিনিট। নূন্যতম বুদ্ধিসম্পন্ন নিরক্ষর মানুষও বলবে এটা তো অসম্ভব। তাহলে কি বলবেন মানবজাতির ইতিহাসে আমরাই সেরা? নাকি আমাদের চেয়েও সেরা কেউ ছিল?

কেউ কেউ বলে তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল এলিয়েনদের। সে ধারণাকেও মিথ্যে করে দেয় পিরামিডের ভেতরে সুরঙ্গ আর চেম্বারে পড়ে থাকা মানুষের কঙ্কাল। ধারণা করা হয় এগুলো সেই শ্রমিকদের কঙ্কাল যারা পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে মারা যায়। এবং কঙ্কালে আঘাতের চিহ্ন আছে, অর্থাৎ পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে তারা ব্যথা দিয়েছিল এবং তার চিকিৎসা করা হয়েছিল। গবেষণায় তাই উঠে এসেছে।

মিশরে একটা অদ্ভুত টেম্পল আছে যার নাম ডেন্ডারা লাইট। এখানে রয়েছে অত্যাশ্চর্য আর অদ্ভুত সব কিছু। একটাও উদাহরণ দেই, সেখানে দেয়ালে আঁকা রয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্বের চিত্র। আজ থেকে চার হাজার বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়া অশিক্ষিতরা বিদ্যুতের ব্যবহার জানতো!!!

পিরামিড নিয়ে লেখা শেষ হবে না। আর একটা মজার তথ্য দিয়ে শেষ করছি। পিরামিডের ভেতরটা পুরোটাই এসি, কোন প্রকার এয়ারকন্ডিশন মেশিন ছাড়াই। পিরামিড দাঁড়িয়ে আছে, উত্তপ্ত মরুভূমির উপরে। এমন ভাবে তৈরি করা, ওখানে বাতাসের এমনভাবে আনাগোনা যে তার ভিতরে সব সময় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী থাকে। যা সব চাইতে আরামদায়ক তাপমাত্রা।

আমাদের চেয়েও সেরা জাতি পৃথিবীতে এসেছিল, সেটা বলেছেন আমাদের রব পবিত্র কোরআনে। যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি (সূরা ফজর : ০৮)

এ পিরামিড তাদের গল্প, যাদের কথা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন: ফেরাউন এবং মুসা আঃ

‘আজ আমি তোমার দেহকে (বিনষ্ট হওয়া থেকে) বাঁচিয়ে দিলাম, যাতে তুমি পরবর্তীকালের মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারো। আর নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)

-সংগ্রহীত

ভিজিট করুন:

toolexprole

যতবার দেখা হয়েছে 8
Avatar photo
S.M.YAMIN HASAN

আমি S.M.YAMIN HASAN ।

Articles: 14
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments