Notifications
Mark all as readPlease log in to view notifications
মুখে ব্রণ (Acne) হওয়ার কারণ প্রধানত ত্বকের তেল গ্রন্থি (sebaceous glands) থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন, মৃত ত্বকের কোষ জমা হওয়া, ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। তবে, বিভিন্ন কারণ এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
হরমোনের পরিবর্তন:
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বয়সন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ব্রণ বেশি দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের আগে-পরে ব্রণের প্রবণতা বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত তেল উৎপাদন:
ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত সিবাম (তেল) উৎপন্ন করলে তা লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণের কারণ হয়।
মৃত ত্বকের কোষ:
লোমকূপে মৃত ত্বকের কোষ জমে গিয়ে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ব্রণ হয়।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ:
Propionibacterium acnes নামক ব্যাকটেরিয়া লোমকূপে সংক্রমণ ঘটায়, যা প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ব্রণ তৈরি করে।
জেনেটিক কারণ:
পরিবারের কারও মধ্যে যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে অন্যদের মধ্যেও এটি দেখা দিতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস:
অতিরিক্ত চর্বি, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার, চিনি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ব্রণ বাড়াতে পারে।
চাপ বা স্ট্রেস:
মানসিক চাপের কারণে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা ব্রণকে উসকে দিতে পারে।
কসমেটিকস:
নিম্নমানের বা তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।
১. ত্বকের যত্ন:
নিয়মিত পরিষ্কার:
দিনে ২ বার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। খুব বেশি ধোয়ার দরকার নেই, কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং আরও তেল উৎপন্ন হতে পারে।
ব্রণের জন্য দূর করতে Acne clear face wash
সকল প্রকার ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে।
Daraz online shop: https://s.daraz.com.bd/s.wpWc?cc
Price:332 tk
তৈলমুক্ত প্রসাধনী:
Non-comedogenic বা তেল-মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
স্ক্রাব এড়িয়ে চলা:
খুব বেশি স্ক্রাব করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং প্রদাহ বাড়তে পারে।
Benzoyl Peroxide: ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
যেইটা daraz সহ সকল অনলাইন এবং অফলাইন সকল জায়গায় পেয়ে যাবেন।
Price: 200 TK
Salicylic Acid: লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
যেইটা daraz সহ সকল অনলাইন এবং অফলাইন সকল জায়গায় পেয়ে যাবেন।
Price: 285 TK
Retinoids: মৃত ত্বকের কোষ সরাতে সহায়তা করে।
মেডিকেল চিকিৎসা :
অ্যান্টিবায়োটিক: ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানোর জন্য মুখে বা টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
হরমোন থেরাপি: মেয়েদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
Isotretinoin: গুরুতর ব্রণের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়, তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।
৩. প্রাকৃতিক প্রতিকার:
টি ট্রি অয়েল:
এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
মধু ও দারুচিনি:
এদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা:
ত্বকের প্রদাহ ও লালচে ভাব কমাতে সহায়ক।
৪. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
চিনি ও ফাস্ট ফুড কমানো:
উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
পানি পান:
পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং ব্রণ কমে।
ভিটামিন ও মিনারেল:
জিঙ্ক, ভিটামিন A, E এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ত্বকের জন্য উপকারী।
ব্রণ প্রতিরোধে কিছু সাধারণ টিপস:
মুখে হাত দেওয়া বা ব্রণ চেপে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
পরিষ্কার বালিশের কাভার ও তোয়ালে ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন কিন্তু ঘাম ঝরানোর পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলুন।
প্রচুর বিশ্রাম নিন এবং মানসিক চাপ কমান।
যদি সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডাক্তার এর পরামর্শ নিন । বিধিনিষেধ মেনে চলুন ।
[ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন Trickus এর সাথেই থাকুন]