ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো?

আপনার অনেকেই অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো হয় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। তাই আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো সম্পর্কে জানানোর জন্যই উপস্থিত হয়েছি। পাশাপাশি অলিভ অয়েল তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কেও জানাবো।

মুখে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

মুখে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা অনেক। কারণ এই তেল ব্যবহার করার ফলে মুখে ব্রণ দূর করা যায়। অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি মুখের ব্রণ তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে।
তাই আপনারা যদি সঠিক নিয়মে মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেন তাহলে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং অতি সহজেই মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে।আমরা পরের অংশে মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম আলোচনা করব।

মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

আপনারা অনেকেই মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে চেয়েছেন। আমরা সেই সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। কারণ মুখে অলিভ অয়েল তেল সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায় বিশেষ করে ত্বকের ও মুখের ব্রণ দূর করা যায়।
এজন্য মুখে সঠিক নিয়মে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে হবে আর এজন্যই আপনাদের মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্ক।
প্রথমে আপনাকে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এজন্য আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তারপর মুখ শুকিয়ে গেলে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল তুলার সাথে লাগিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ভালোভাবে মুখে লাগানো হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে ব্যবহার করলে মুখে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
তাছাড়াও আপনারা ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি ডিমের কুসুমের সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল তেল এবং দুই ফোঁটা লেবুর রস নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি আপনার মুখের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
ফেসপ্যাক লাগানো হয়ে গেলে কমপক্ষে ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন। এরপর ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়ার পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার মুখের ত্বক কোমল ও নরম হবে এবং আদ্রতা বজায় থাকবে।
আপনারা চাইলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করতে পারেন। এর জন্য আপনি দুই চামচ লবনের সাথে তিন চামচ অলিভ অয়েল তেল মেশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এবার মিশ্রণটি মুখের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন।
তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণ অনেকটা কমে আসবে। তাহলে আপনারা মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে পারলেন।

ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো

অনেকেই জানতে চান ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো। অলিভ অয়েল তেল সাধারণত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল
  • আনফিল্টার্ড অলিভ ওয়েল
  • রিফাইন্ড অলিভ ওয়েল
  • ভার্জিন অলিভ ওয়েল
সাধারণত এই চার ধরনের অলিভ অয়েল তেল রয়েছে। জলপাই থেকে সর্বপ্রথম যেই তেল তৈরি করা হয়েছে সেটি হল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি সাধারণত বাকি অলিভ অয়েল তেলের থেকে কিছুটা ভিন্ন। আর জানা গেছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল তেল ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ত্বকের স্বাস্থ্যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিম অয়েল ব্যবহার করে আসছে।

(FAQ)

মুখে কি অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই , মুখে আপনারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখে ব্রণ দূর করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল কোনটি?

উত্তরঃ সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল হলো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় এবং ভালো অলিভ অয়েল তেল নামে পরিচিত।

চুলে অলিভ অয়েল তেল দিলে কি হয়?

উত্তরঃ চুলে অলিভ অয়েল তেল দিলে চুলের শুষ্কতা ভাব দূর করা যায় , চুল পড়া রোধ করা যায় , চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

মুখে কি অলিভ অয়েল লাগানো উচিত?

উত্তরঃ হ্যাঁ আপনারা অবশ্যই মুখে অলিভ অয়েল তেল লাগাতে পারেন। তবে সঠিক নিয়মে লাগাতে হবে। এর জন্য আপনাদের অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। তাই মুখের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অলিভ অয়েল তেল লাগানো উচিত।
অলিভ অয়েল কি ত্বক ফর্সা করে?
উত্তরঃ অলিভ অয়েল তেল ত্বক সরাসরি ফর্সা করে না , তবে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে পারে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।
অলিভ অয়েল কি চুল পড়া কমায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই , সঠিক নিয়মে অলিভ অয়েল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমানো যায়।

শেষ কথা

তাহলে প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো সম্পর্কে জানতে পারলেন। তাছাড়াও মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম জানতে পেরেছেন। এতে করে আপনারা অতি সহজেই চুল পড়া রোধ করতে পারবেন এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবে।।আপনাদের পরিচিতদের অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

যতবার দেখা হয়েছে 340
Avatar photo
sakib.khan
Articles: 8
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Inline Feedbacks
View all comments
trickus support
Admin
1 month ago

congratulations you are promoted to aurthor 🎉🎉