Notifications
Mark all as readPlease log in to view notifications
বাংলাদেশের প্রায় সরকারি ছুটি গুলোর সাথে জড়িয়ে থাকে উৎসব , সংস্কৃতি , যুদ্ধের গুরুত্বপুর্ণ দিনগুলো । ২০২৫ সালেও এই ছুটির দিনগুলোতে মিলবে স্মরণীয় ইতিহাস, উৎসবের আমেজ ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ। আসুন, দেখি কম মাসে কিসের ছুটি পাবো এবং কয়টা ছুটি পাবো ।
জানুয়ারি থেকে মার্চ: ভাষা ও স্বাধীনতার মাস
১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)
১৪ ফেব্রুয়ারির দিন,যাকে বিশ্ব ভালোবাসার দিবস বলে মনে করা হয় । বিশ্বজুড়ে এ দিবস পালিত হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার):
শবে বরাত, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায় নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-দূরদের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করে।
২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)
একুশে ফেব্রুয়ারির দিন, যেখানে ১৯৫২ সালের ভাষা প্রেমিকদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে বিশ্বজুড়ে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠিত প্রভাতফেরি ও আলোচনা সভায় ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
২৬ মার্চ (বুধবার):
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণার দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের স্মরণে জাতীয় পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ মার্চ (শুক্রবার):
শবে কদর, সেই পবিত্র রাত যাকে পবিত্র রাত্রি বলে মনে করা হয় । মুসলিমগণ ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চায় ।
২৯ মার্চ – ২ এপ্রিল:
ঈদ-উল-ফিতরের সুখময় দিন, যখন নতুন চাঁদের দেখা পাওয়া যায় তখন থেকে শুরু হয়ে শিশুদের নতুন জামা-কাপড়, সেমাই-পায়েসের আয়োজন এবং ফিতরা বণ্টনের মাধ্যমে এই উৎসবকে বিশেষ করে তোলা হয়।
এপ্রিল-জুন: বৈশাখ ও ঈদ-উল-আযহার মাস
১৪ এপ্রিল (সোমবার):
পহেলা বৈশাখের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য রমনার বটমূলে সঙ্গীতানুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পান্তা-ইলিশের অনুষ্ঠানে মানুষের মনে নতুন করে শুরু করার আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয় ।
১ মে (বৃহস্পতিবার):
মে দিবস, শ্রমিক দের অধিকারের জন্য নানা অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৫-১০ জুন:
ঈদ-উল-আযহার পবিত্র উৎসবে পশু কোরবানি, গরিব ও দুর্দশাগ্রস্তদের মাঝে মাংস বণ্টন ও পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার একটি দিন।
আরো পড়ুনঃ 4300 টি ধর্মের মধ্যে ইসলাম: কেন একমাত্র সত্য ও শান্তির ধর্ম ?
জুলাই-ডিসেম্বর: পূজা ও বিজয়ের মাস
৬ জুলাই (রবিবার):
আশুরার পবিত্র মুহুর্ত, যেখানে কারবালার শাহাদাতের স্মরণে মুসলিম সমাজ নিজেকে আত্মসমর্পণ করে।
১৬ আগস্ট (শনিবার):
জন্মাষ্টমী, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব উদযাপনের মাধ্যমে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সম্প্রীতি বজায় রাখা হয়।
১-২ অক্টোবর (বুধবার-বৃহস্পতিবার):
দুর্গাপূজার শারদীয় উৎসবে ঢাকার মন্দির, পূজামণ্ডপ ও বাড়িতে রূপালী আলো, বাদ্যযন্ত্র ও ধূপ-গন্ধে মিশে যায় এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক পরিবেশ।
১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার):
বিজয় দিবস, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত জয় ও আত্মত্যাগের স্মরণে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন আয়োজন ও কর্মসূচী পরিচালিত হয়।
২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার):
বড়দিন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব, যেখানে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, সমবেত আয়োজন ও আনন্দের উদযাপন করা হয়।
ধর্ম | উল্লেখযোগ্য ছুটি | তারিখ |
---|---|---|
ইসলাম | শবে মিরাজ | ২৮ জানুয়ারি |
ইসলাম | আখেরি চাহার সোম্বা | ২০ আগস্ট |
হিন্দু | সরস্বতী পূজা | ৩ ফেব্রুয়ারি |
হিন্দু | দোলযাত্রা | ১৪ মার্চ |
খ্রিস্টান | ইস্টার সানডে | ২০ এপ্রিল |
বৌদ্ধ | বুদ্ধ পূর্ণিমা | ১১ মে |
রমজানের রোজা শেষে নতুন চাঁদের দেখা থেকেই শুরু হয়ে যায় আনন্দের ঢেউ। শিশুদের তো সবচেয়ে আনন্দের দিন তারা কষ্ট করে রোজা থেকে শেষে যেন তাদের চেয়ে বেশি খুশি আর কেও নেই । নতুন জামাকাপড় থেকে শুরু করে হাতে মেহেদী দিয়ে তারা এই আনন্দের দিন উদযাপন করে ।
শারদীয় ঋতুতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই প্রধান উৎসবে ঢাকার পুরোনো মন্দির থেকে শুরু করে প্রতিটি পূজামণ্ডপে নানা আচার-অনুষ্ঠান, প্রচুর ভোজ এবং প্রসাদের আয়োজনের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাগ্রত হয়।
সাধারণ ছুটি ki