Notifications
Mark all as readPlease log in to view notifications
* প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমি দোয়া পড়া মুস্তাহাব
ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে এবং শেষ হয় সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। সাধারণত বাংলাদেশে এই সময়টি ভোর ৪:৩০ থেকে ৫:৩০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সময়ে নামাজ আদায় করা ফরয, এবং এটি ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি।
* সুবহে সাদিক হলো ভোরের সেই সময় যখন পূর্ব আকাশে সাদা আলোর রেখা দেখা যায়, কিন্তু সূর্যোদয় হয়নি।
আরবী: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা উচ্চারণ: “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, তোমার প্রশংসা করছি, তোমার নাম মর্যাদাশীল, তোমার মহিমা সুউচ্চ, তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই”
আরবী: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
বাংলা উচ্চারণ: “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাতু। আস সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু”
অর্থ: “সমস্ত সম্মান, ইবাদত ও উত্তম কথা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বারাকাতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর সকল সৎ বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল”
আরবী: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আালি মুহাম্মাদিন, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আালি ইবরাহীমা, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”
অর্থ: “হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত”
আরবী: اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মাহদিনি ফীমান হাদাইত, ওয়া আাফিনি ফীমান আাফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানি ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বারিক লি ফিমা আ’তাইত, ওয়া কিনি শার্রা মা কাদাইত, ফাইন্নাকা তাকদি ওয়া লা ইউকদা আলাইক, ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মাও ওয়াল্লাইত, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তা’আালাইত”
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়াতপ্রাপ্তদের সাথে হিদায়াত দান করুন, সুস্থদের সাথে সুস্থতা দিন, মুত্তাকীদের সাথে সম্পর্ক রাখুন, যা দিয়েছেন তাতে বারাকাত দিন, আপনার সিদ্ধান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। নিশ্চয়ই আপনি ফয়সালা করেন, আপনার উপর ফয়সালা করা হয় না। যাকে আপনি বন্ধু বানান, সে কখনো হীন হয় না”
🔹 এই আয়াতগুলো ফজরের সুন্নত নামাজের পর পড়লে ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত দোয়া করে (তিরমিযি)।
🔹 এই আয়াতগুলো পড়লে আল্লাহর মহিমা ও ক্ষমতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি হয় এবং ঈমান বৃদ্ধি পায়।
আরবী:
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ ﴿٢٢﴾ هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿٢٣﴾
বাংলা উচ্চারণ:
“হুওয়াল্লাহুল্লাজী লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি, হুওয়ার রাহমানুর রাহীম। হুওয়াল্লাহুল খালিকুল বারীউল মুসাওয়িরু, লাহুল আসমাউল হুসনা, ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, ওয়া হুওয়াল আজিজুল হাকীম”
অর্থ:
“তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবক, আকৃতিদাতা। সব সুন্দর নাম তাঁরই। আসমান ও জমিনে যা আছে সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”
আত্তাহিয়্যাতু?